বুকে ব্যথা করছে? কিভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে লক্ষ্মণ ও কারণ জেনে নিন

বুকে ব্যথা করছে? কিভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে লক্ষ্মণ ও কারণ জেনে নিন
বুকে অসহ্য ব্যথা? 

আপনার কি বুকে অসহ্য ব্যথা করছে? কিভাবে বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা? 

আসুন আগে জেনে নেই হার্ট অ্যাটাক কি এবং কিভাবে হয়ঃ

যখন কারো হ্নদযন্ত্রের কোনো অংশে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা বাধাগ্ৰস্ত হয়, তখন হ্নৎপিন্ডের কোষ কিংবা হ্নৎপেশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ফলে মায়োকারডিয়াল ইনফ্রাকশন, করোনারি থ্যোমবসিস ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়,যেগুলো একনামে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। বাংলাদেশে হৃদরোগ, বিশেষ করে করোনারি (Coronary),হ্নদরোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ড রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ও খাবারের সারবস্তূ অর্থাৎ পুষ্টিকর পদার্থ রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। নিজের কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য অর্থাৎ তার হ্নৎপেশির অক্সিজেন এবং পুষ্টি অর্জনের জন্য হ্নৎপিন্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালী আছে। এগুলো্র মধ্যে অনেক সময় চর্বি জমে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফলে প্র্যাণঘাতী রোগ হার্ট অ্যাটাক হয়। বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাক শুধু ৪০_৬০ বছর বয়সী লোকেরাই আক্সান্ত হচ্ছে না, অনেক সময় তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হয়।

এ রোগ এর সাথে দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ত্রিত থাকলে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস যেমন অধিক তেলযুক্ত খাবার (বিরিয়ানি,তেহেরি ইত্যাদি), ফাস্টফুড (বিফ, চিকেন প্যাটিস,  চিকেন চাপ, বিফ চাপ ইত্যাদি) খাওয়া, অলস জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম বা নিয়মিত ব্যায়াম না করার ফলে এই রোগ দেখা যায়।এ ছাড়াও সব সময় হতাশা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বিমর্ষ থাকায় যেকোনো বয়েসে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

হার্ট অ্যাটাক রোগের লক্ষণ:

হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহনীয় ব্যাথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয় যা, প্রাথমিক ভাবে আ্যান্টাসিড ঔষধ খেলেও কমবে না।ব্যাথা বাম দিকে বা সারা বুকে ছড়িয়ে যেতে পারে।ব্যাথ্যা অনেক সময় গলা এবং বাম হাতে ছড়িয়ে যায়।রোগী প্রচন্ডভাবে ঘামতে থাকে এবং বুকে ভারি চাপ অনুভব করছে বলে মত প্রকাশ করে। রোগীর যদি আগে থেকে ডাযেবেটিস থাকে , তাহলে বুকে কোন ব্যাথ্যা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।তাই রোগী কিছু না বুঝে ওঠার আগেই সর্বনাশ হয়ে যায়। এজন্য ডাযাবেটিস রোগী কোনো অসুবিধা বোধ না করলেও নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে চেক-আপ করানো প্রয়োজন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন