আব্বাসী হুজুর ও জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টক শো |
আব্বাসি হুজুরের সাথে এক টক শোতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রশ্ন করেছিলেন, "হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর স্ত্রী'গনকে বিয়ে করা যাবে না কেনো? জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে আব্বাসী হুজুর বললেন বললেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কোরআন মাজিদে বলেছেন, নবী রাসূল (সাঃ) দের বিবি বা স্ত্রীগন তোমাদের মা। আপনি হয়তোবা জানেন মা'কে বিবাহ করা হারাম। তখন আবার জাফরুল্লাহ বললেন, এমনটা হতে পারে না, উনি চান নাই উনার স্ত্রী'গণকে কেউ বিয়ে করুক তাই সেইভাবে আল্লাহর নিকট থেকে আয়াত নাজিল করিয়েছেন"!
এই একটি প্রশ্নে দু'টি জিনিস ফুটে ওঠে। ১ নম্বরে তিনি সরাসরি বলতে বা বলার সাহস পাচ্ছে না কিন্ত সে ঠিকই মনে করে যে কোরআনের আয়াত গুলো রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উনার দরকার মতো আয়াত আল্লাহর নিকট থেকে নিয়ে আসতে পারতেন! এগুলো চিন্তাভাবনা কিন্তু নাস্তিকতার পরিচয়।
আব্বাসী হুজুর তার প্রতিত্তোরে অসাধারণ জবাব তিনি তুলে ধরেছেন। প্রথমেই তিনি বলেন, আপনার সম্ভবত পুরো কোরআনের উপর বিশ্বাস নেই। কিছু আয়াতে বিশ্বাস আছে কিছু আয়াতে নেই। আপনার তওবা পড়া উচিত এবং আমি আপনার হেদায়েত কামনা করছি।
আব্বাসি হুজুর আরো বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যদি নিজের মতে কোরআনের আয়াত চেয়ে নিয়ে আসতেন তবে গোটা কোরআনে মাজিদে নিজের গর্ভধারীনী মায়ের কথা একবারও বলেন নি। নিজের প্রিয় মা'কে নিয়ে একটা আয়াত অন্তত আনতেন। কোন স্ত্রী'গনের নামে কোন আয়াত সুরা নেই। দুঃসময়ে পাশে থাকা প্রিয় স্ত্রী বিবি খাদিজাকে নিয়ে অন্তত একটা সুরা আনতেন। অন্যদিকে কোরআনে আছে অন্য নবীর মা মরিয়মের নামে সুরা। কেনো? কারন শুধু একটাই আল্লাহ যেভাবে চেয়েছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ইচ্ছামাফিক কোরআন নাজিল হয়েছে।"
এটা গেলো আব্বাসী হুজুরের নিপুন ও চমৎকার যৌক্তিকতার উত্তর।
এই বিষয়ে আমার নিজের কাছেও একটা ভালো উদাহরণ আছে। "আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার পুত্র এসে কান্নাকাটি করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অনুরোধ করলেন রাসূলম(সাঃ) যেন তার পিতার জানাজা পড়ায় এবং রাসূল (সাঃ) এর গায়ের একটা জামা তিনি তার পিতাকে দিয়ে দেয়। সেটা দিয়ে দাফন করতে চাইলেন যদি আল্লাহ ক্ষমা করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সাহাবী পুত্রের কথা অনুযায়ী গায়ের জামা দিয়ে দিলেন এবং ওবাইরার জানাজা পড়াতে রাজি হলেন। পথিমধ্যে হযরত উমর (রাঃ) এসে রাসূল (সাঃ) কে এসে ওবাইরার জানাজা না পড়াতে বাদা দেয়। তখন রাসূল (সাঃ) উমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্যে করে বললেন, আল্লাহ পাক কোরআনে বলে দিয়েছেন আমি ৭০ বার জানাজা পড়ালেও আল্লাহ তাকে মাফ করবে না, কিন্ত আল্লাহ তো পড়ানোর জন্য না করেনি। আর ছেলেটা এত করে বললো তাই আমি না করিনি।
কিন্ত পরবর্তীতে আল্লাহ পবিত্র কোরআন মাজিদে নাজিল করে বলে দিলেন ওদের জানাজাও আপনি পড়াবেন না।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যদি নিজের ইচ্ছামত বা মনগড়া মতো কোরআন মাজীদে আয়াত আনতো তাহলে উনার চাওয়ার বিপরীতে কোরআনে আয়াত নাজিল হতো না। উনি জানাজা পড়ানোতে রাজি ছিলেন কিন্তু আল্লাহ নিষেধ করে দিলেন।
মুল বিষয় হলো, এসব জ্ঞানী লোকদের নিকট কোরআনের কোন জ্ঞান নেই। আর যে ব্যাক্তির কাছে কোরআনের জ্ঞান নেই তিনি পৃথিবীর সেরা মুর্খ। বলা যায় শিক্ষিত মুর্খ।
কিন্ত পরবর্তীতে আল্লাহ পবিত্র কোরআন মাজিদে নাজিল করে বলে দিলেন ওদের জানাজাও আপনি পড়াবেন না।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যদি নিজের ইচ্ছামত বা মনগড়া মতো কোরআন মাজীদে আয়াত আনতো তাহলে উনার চাওয়ার বিপরীতে কোরআনে আয়াত নাজিল হতো না। উনি জানাজা পড়ানোতে রাজি ছিলেন কিন্তু আল্লাহ নিষেধ করে দিলেন।
মুল বিষয় হলো, এসব জ্ঞানী লোকদের নিকট কোরআনের কোন জ্ঞান নেই। আর যে ব্যাক্তির কাছে কোরআনের জ্ঞান নেই তিনি পৃথিবীর সেরা মুর্খ। বলা যায় শিক্ষিত মুর্খ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন